খুলনা, বাংলাদেশ | ২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৬ জুন, ২০২৪

Breaking News

ফ্রিজেও রেখে দেওয়া হয়েছিল এমপি আনারের দেহের অংশ

গেজেট ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হয়েছেন। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। গত ১৩ তারিখ নিউটাউনের আবাসনে তাকে হত্যা করা হয়। তারপর তিনদিন ধরে তার মরদেহ টুকরো টুকরো করে ডিসপোজ করা হয়। ফ্রিজেও রেখে দেওয়া হয়েছিল দেহের অংশ। ভারতীয় পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি আরও জানায়, এমপি আনারের দেহাংশ ফেলার দায়িত্বে ছিল অন্য কেউ। তাদের হদিস পাওয়া গেলেই জানা যাবে কোথায় কোথায় দেহাংশ ফেলা হয়েছে। ওই আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে বেশকিছু প্লাস্টিক ব্যাগ পাওয়া গেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যাগ গুলোতে করেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২২ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিদর্শক (সিআইডি) অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : এমপি আনারের হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মিলেছে: পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি প্রধান

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ এখনো পায়নি পুলিশ। তবে কিছু প্রমাণের ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে, এই সংসদ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।’ এ ঘটনার তদন্ত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হাতে নিয়েছে বলে জানান অখিলেশ চতুর্বেদী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি, যার ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে ওনাকে হত্যা করা হয়েছে।’তিনি আরো জানান এই যেই প্লাটটিতে ওই সাংসদ এসে উঠেছিলেন সেটি সন্দীপ রায়ের নামে এক ব্যক্তির তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (প্রবাসী বাংলাদেশি) বাসিন্দা আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা ও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। মূলত ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তিনি। পরে ১৩ মে দুপুরে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ করেন গোপাল বিশ্বাস।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!